গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয় - পাকা কলা খাওয়ার ১২ স্বাস্থ্য উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয় - পাকা কলা খাওয়ার ১২ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন পাকা কলা সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে। তাই উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে সম্পূন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি হয় - কলা খাওয়ার ১২ স্বাস্থ্য উপকারিতা
পোস্টসূচীপত্রঃএই আর্টিকেলের মধ্যে শুধু গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বলা হয়নি। এছাড়া ও পাকা কলা সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ও আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো জানলে আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পাকা কলা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আরো নানান তথ্য সম্পর্কে।

পাকা কলার পুষ্টি গুণ

পাকা কলা পুষ্টিগুণে ভরা।এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি৬,ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এছাড়া ও এতে আরো রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট।পাকা কলা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। 
এছাড়া ও এটি নিয়মিত খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। আবার অনেকে কম ওজন নিয়ে বেশ সমস্যায় রয়েছেন। তাদের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে পারেন। পাকা কলা ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা 

  • শক্তি যোগায় - কলাতে উচ্চ মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যার ফলে কলা খেলে শরীরের দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়।
  • হজমে সহায়ক - কলাতে ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও সাহায্য করে। কেননা ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • আয়রনের উৎস - কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এটা আয়রনের একটা উৎস। রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
  • পটাশিয়াম সরবরাহ করে - উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম সরবরাহ করে কলা। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি ও কমাতে সাহায্য করে।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে - কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • পেশিরস্বাস্থ্য ভালো রাখতে - কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় পেশির ক্রিয়া-কলাপের জন্য এটা খুবই উপকারী।
  • মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে - কলাতে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য - কলাতে থাকে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
  • হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় - কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যা আমাদের হাড়কে শক্ত ও উন্নত করে। এছাড়া ও ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁতের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে - নিয়মিত কলা খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কেননা, কলাতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটা আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিকেলকে কম করতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের শরীরের কোষগুলি অক্সিডেটিভ স্টেস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।এছাড়াও কলাতে থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই এই গুলো ও আমাদের বিভিন্ন রোগের সাথে লড়তে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে - লেকটিন নামক প্রোটিন কলাতে পাওয়া যায়। এই লেকটিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ যেমন লিউকোমিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো কলা খেলে ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • খনিজ বা মিনারেলস এর ঘাটতি পূরণে - নিয়মিত ব্যায়াম এবং খেলাধুলা করেন যারা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফল হল কলা। কেননা কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস বা খনিজ উপাদান। আমরা যখন ব্যায়াম বা খেলাধুলা করি তখন আমাদের শরীর প্রচুর পরিমাণে ঘামে। আর এই ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে খনিজ উপাদান বের হয়ে যায়। আর এই খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণে কলার বিকল্প নাই।

পাকা কলা খাওয়ার অপকারিতা

  • ওজন বৃদ্ধি - কলাতে থাকে উচ্চ ক্যালোরি ও চিনি তাই অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • রক্তচাপ হ্রাস - কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় অতিরিক্ত কলা খেলে আমাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
  • এলার্জির ঝুঁকি - যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কলা খেলে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা - অতিরিক্ত কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
  • রক্তের শর্করা - কলাতে প্রচুর শর্করা থাকে। তাই কলা খেলে রক্তের শর্করা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য কলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সর্তকতা মেনে খাওয়া উচিত বা প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
  • কিডনির সমস্যা - কিডনির সমস্যা থাকলে কলা না খাওয়া ভালো। তবে খেতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
  • অনিদ্রার সমস্যা - কলা খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই রাতে কলা না খাওয়াই ভালো।
  • দাঁতের সমস্যা - কলাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি পরিমাণে থাকে। তাই খুব বেশি কলা খেলে আমাদের দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সুষম খাদ্যের একটি অংশ হিসেবে কলা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে এটা পরিমাণ মতো খেতে হবে কেননা পরিমাণের থেকে বেশি কোন খবরই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

রাতে পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা

অনেকে রাতে কলা খেতে পছন্দ করেন এবং সেটা তারা এক পর্যায়ে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় কিন্তু রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে আসুন জেনে নিই সেই উপকারিতা গুলোঃ
  • কলাতে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা পেশি শিথিল করতে ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে রাতে ভালো ঘুম হয় ।যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত রাতে কলা খেতে পারেন দেখবেন যাতে ভালো ঘুম হচ্ছে।
  • কলাতে রয়েছে ট্রিপ্টোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো এসিড যা সেরোটেনিন ও মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর হরমোন মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত রাতে কলা খেলে মুড ভালো থাকে। কলাতে থাকে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • পাকা কলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পাকা কলা কারা খাবেন না

  • পাকা কলা বেশ মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য পাকা কলা খাওয়া বেশ ক্ষতিকর। কেননা পাকা কলা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এজন্য যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের পাকা কলা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • যাদের কনিক ক্রনিক কিডনি ডিজিস রয়েছে তারা পাকা কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।কারণ পাকা কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে বেশি পরিমাণে।
  • কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট রক্তের ট্রাই গ্লিসারিনের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়ায়। যাদের রক্তে ট্রাই গ্লিসারাইডের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে তাদের পাকা কলা খাওয়া উচিত নয়।
প্রিয় পাঠক আপনার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন পাকা কলা কাদের জন্য খাওয়া নিরাপদ নয়।

পাকা কলা খেলে কি বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগে

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি কাশি হলে পাকা কলা খাওয়া উচিত নয় ।কলা খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা আরো বেড়ে যায়। আবার কেউ কেউ বলে পাকা কলা খেলে নাকি ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে। আসলে এটা কতটা সত্যি তা আমরা চলুন জেনে নেই। ঠান্ডার সাথে পাকা কলা খাওয়ার সরাসরি তেমন কোন সম্পর্ক নেই। অনেকে ঠান্ডা লাগবে এটা ভেবে পাকা কলা খাওয়াই বন্ধ করে দেয়। 
তবে কারো যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে এই ধরনের ঠান্ডা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। পাকা কলা অনেক সময় মিউকাস তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া ও শীতকালে পাকা কলা শরীরের তাপমাত্রা কে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব করায়। তাই যাদের ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা রয়েছে তাদের পাকা কলা খাওয়া সেই সময়টা বন্ধ রাখা উচিত। 

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, পাকা কলা ঠান্ডা কিন্তু এটা নিজেই ঠান্ডা লাগার কারণ নয়, ঠান্ডা লাগার প্রধান কারণ হলো ভাইরাস। সুতরাং কলা খাওয়া ও ঠান্ডা লাগার মধ্যে সরাসরি কোন রকম সম্পর্ক নেই। তাই বাচ্চাদের নিশ্চিন্তে কলা খাওয়াতে পারেন। তবে ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাচ্চাদের জন্য কোন কলা ভালো

  • বাচ্চাদের জন্য সব ধরনের কলায় ভালো তবে পাকা কলা বাচ্চাদের জন্য খাওয়া সবচেয়ে উপযুক্ত কেননা পাকা কলা সহজে হজম হয় এবং শিশুদের জন্য এটা বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার।
  • পাকা কলাতে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে যা শিশুদের হজম প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে সাহায্য করে।ফলে শিশুদের পেটের জন্য এটা সহজে হজম যোগ্য করে।
  • কলাতে পটাশিয়াম,ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন।
  • পাকা কলাতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • এতে থাকা পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থ্য এবং পেশির গঠনে সহায়তা করে।
  • পাকা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা শিশুদের দ্রুত শক্তি জোগায়।
  • পাকা কলা মিষ্টি জাতীয় ফল তাই প্রায় বাচ্চাদেরই এটা বেশ পছন্দ।

জ্বর হলে কলা খাওয়া যাবে কি

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে জানতে চান জ্বর হলে কলা খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে। চলুন জেনে নেয়া যাক জ্বর হলে কলা খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয় সম্পর্কে। কলা আমাদের শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কেননা কলাতে প্রাকৃতিক চিনি এবং সহজে হজমযোগ্য ফাইবার থাকে। তাছাড়া ও কলা সহজ প্রাচ্য কলাতে 

আরো রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও নানান রকম পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সহায়তা করে। জ্বর হলে কলা খাওয়াতে কোন সমস্যা নাই। জ্বরের কারণে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে। আর কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের পানি ও লবণের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। 
তবে জ্বর এর সাথে সাথে যদি আপনার অন্য কোন উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন - বমি ভাব, ডায়রিয়া বা গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সমস্যা থাকে ,তাহলে কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। সাধারণত জ্বর হলে কলা খাওয়া নিরাপদ।

গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া মা এবং গর্ভের শিশুর জন্য অনেক উপকারী। পাকা কলা একটি পুষ্টিকর এবং সহজে হজম যোগ্য একটি ফল। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
  • গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় যা আমরা কলার প্রাকৃতিক শর্করা থেকে পেতে পারি।
  • কলাতে থাকা ভিটামিন বি৬ বমিভাব কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে প্রথম তিন মাস এটি খুবই উপকারী।
  • গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য মতন সমস্যার দেখা দেয় করাতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়িয়ে এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • পাকা কলাতে আইরন এবং ভিটামিন বি৬ থাকে যা আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে। যার ফলে গর্ভবতী মা রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
  • পাকা কলাতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে প্রি-একলামশিয়ার ঝুঁকি কমে।
  • পাকা কলাতে থাকা ফলিক এসিড পাকা কলা তে থাকা ফলিক এসিড শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।
  • গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মানসিক চাপ এবং উদ্যোগ দেখা দিতে পারে। কলাতে থাকা ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিন উৎপাদন করে মেজাজ ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • গর্ভাবস্থায় অনেকের পায়ে ব্যথা ও পেশি টান ধরে। তবে নিয়মিত কলা খেলে এটি দূর হয়। কেননা,কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম।
  • নিয়মিত কলা খেলে এটি পেটের অম্লতা কমায় এবং হজমের উন্নতি করে। যাদের অম্লতার কারণে বুকে জ্বালাপোড়া রয়েছে সেটা দূর করতে ও কলা বেশ উপকারী।
  • কলা কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

লেখকের শেষকথা - গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয় - পাকা কলা খাওয়ার ১২ স্বাস্থ্য উপকারিতা 

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে সম্পূন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খেলে কি হয় - পাকা কলা খাওয়ার ১২ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কিত সকল তথ্য।আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন পাকা কলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে।
এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে এই ওয়েবসাইটি নিয়মিত ফলো করুন।আর আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url