অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ-অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি
আপনি যদি অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ-অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজকে আমার আর্টিকেলের মাঝে আমি অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃঅপুষ্টি ও অতি পুষ্টির জন্য আমাদের শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাই চলুন আর দেরি না করে অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ এবং অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভূমিকা-অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ-অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি
অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি উভয় আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অপুষ্টির জন্য যেমন আমাদের শরীরে নানান রকম রোগের সৃষ্টি হয় তেমনি অতিপুষ্টির কারণে আমাদের শরীরে পুষ্টির অতিরিক্ত পরিমাণ জমা হয়, যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্যের সমস্যা কারণ হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টি তখনই হয় যখন আমরা প্রতিদিন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণ করে থাকি।
অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি
অপুষ্টি কি
অপুষ্টি হলো শরীরের কোন শক্তি না থাকা এবং শরীরের স্বাস্থ্য চিকন হওয়া শরীর রোগা পাতলা হওয়া এবং কোন খাদ্য খেতে না পারার কারণে শরীরে যে রোগ বা পুষ্টিহীনতা দেখা দেয় তাকে অপুষ্টি বলে।
অতি পুষ্টি কি
অতি পুষ্টি হচ্ছে একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য পুষ্টি উপাদান যে পরিমাণে শরীরে প্রয়োজন তার চেয়ে যেকোনো একটি উপাদান খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে তার এই অতি পুষ্টি সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির শরীরে যদি অতিরিক্ত পুষ্টি থাকে তখন সেটাকে বলা হয় অতি পুষ্টি।
অতি পুষ্টির লক্ষণ
অতি পুষ্টি হলে ওজন বাড়তে থাকে এবং অস্বস্তি লাগে সব সময়। অতি পুষ্টি হচ্ছে একটা রোগ। আর অতি পুষ্টি দেখা দিলে শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।অতি পুষ্টির লক্ষণ গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমনঃ
- ওজন বৃদ্ধিঃঅতি পুষ্টির কারণে ওজন দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু এটা আপনি কিভাবে বুঝবেন সেটা জানার জন্য আপনাকে স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে এবং ডায়েটে চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। এভাবে যদি ওজন কমে তাহলে বুঝতে হবে আপনি অতি পুষ্টি রোগে ভুগছেন।
- দুর্বলতাঃঅতি পুষ্টির কারণে শরীরে দুর্বলতা অনুভূত হয়। কোন কাজকর্ম করতে উৎসাহ লাগে না শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
- স্থুলতাঃঅতিরিক্ত পুষ্টির জন্য শরীরের প্রথম এবং সাধারণ সমস্যাই হলো স্থুলতা। স্থুলতা বাড়তে থাকলে শরীরে নানান রকম কঠিন রোগের বাসা বাঁধতে থাকে। যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্টোক। আর ক্যান্সারের মতো রোগের ও ঝুঁকি বাড়ায়।
- কোলেস্টেরলঃঅতি পুষ্টির কারণে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ও বেড়ে যায়।
- উচ্চ রক্তচাপঃঅতি পুষ্টির কারণে উচ্চ রক্তচাপের দেখা দেয়। যার ফলে হৃদরোগ ও স্টোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- ত্বকঃঅতি পুষ্টির কারণে ত্বকে নানা রকম সমস্যা ও দেখা দেয়। ত্বকে ব্রণ ও প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ
আমাদের শরীর অপুষ্টি বা অতিপুষ্টি যদি থাকে তাহলে আমরা শরীরের মাঝে কিছু লক্ষণ দেখতে পায়। চলুন তাহলে আমরা আজকে জেনে নিই অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি। তাছাড়া আর ও জানবো অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির কি সেগুলো সম্পর্কে।
অপুষ্টির শারীরিক লক্ষণ
- অপুষ্টির দেখা দিলে দেহের ওজন স্বাভাবিকভাবে কম থাকে, অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যদি অপুষ্টি জনিত রোগে ভুগে তখন তার দেহে ওজন কমে যায় এবং দিন দিন তা কমতেই থাকে।
- তার কর্ম ক্ষমতা অনেক কম থাকে। সে খুব বেশি কাজ করতে পারে না অল্প কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যায় । অলসতা বেড়ে যায়।
- অপুষ্টি জনিত কারণে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি রক্তশূন্যতা হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- অপুষ্টির কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
- অপুষ্টির কারণে বাচ্চাদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ দেরিতে হয় এমনকি বাচ্চারা প্রতিবন্ধীও হয়ে যেতে পারে।
- অপুষ্টির কারণে ত্বক শুষ্ক এবং ফ্যাকাশে দেখা দেয়।
- অপুষ্টির কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ
- অতি পুষ্টির প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হল বয়স অনুযায়ী ওজন অনেক বেশি হবে। কোনভাবেই ওজন কমেনা দিন দিন ওজন বাড়তে শুরু করে।
- অতি পুষ্টির কারণে খাবারের আগ্রহ বেশি দেখা দেয় এবং ঘন ঘন ক্ষুদা লাগতে থাকে।
- এতে কাজ করার ক্ষমতা ও কমে যায় কাজ করতে গেলে তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
- স্মরণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। অলসতা দিন দিন বেড়ে যায়।
- অতি পুষ্টির কারণে পেটের মেয়াদ দিন দিন বাড়তে শুরু করে।যার ফলে পেটে ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব হতে পারে।
- অতি পুষ্টির কারণে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হতে পারে। যার ফলে শ্বাস নিতে এবং শ্বাস ফেলতে সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অতি পুষ্টির কারণে ডায়াবেটিস , হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ও হ্রাস পায়।
- অতিবৃষ্টির কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত পুষ্টি গ্রহণের কারণে মাঝে মাঝে ত্বকে ব্রণ এবং নানা রকম প্রদাহ দেখা যায়।
- অতি পুষ্টির কারণে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন লিভারের রোগ কিডনির সমস্যা এবং পিত্তথলির পাথর ইত্যাদি।
- অতি পুষ্টির কারণে হাড়ের অস্থি সংক্রমতা, অস্তি দুর্বলতা এবং অস্থি সম্পর্কিত নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিপুষ্ট ব্যক্তিরা অতিরিক্ত ওজনের জন্য মানসিক চাপ অনুভূত করে। যা কঠিন রোগের সৃষ্টি করতে পারে।
পুষ্টির অভাবে যেসব রোগ হয়
পরিমিত সুষম খাদ্য না খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। মোট কথা আমরা জানিনা যে কোন খাবারে কি পরিমান পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই আমরা দৈনন্দিন যেসব খাবার খেয়ে থাকি তাতে পুষ্টির ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। সেজন্য আমরা পুষ্টিহীনতার জন্য নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছি । যেমন-অ্যানিমিয়া, বেরিবেরি, রিকেট, স্কার্ভি, গলগন্ড ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ শিশুর রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- অ্যানিমিয়াঃ রক্ত যখন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেয় তখন আমরা বলি অ্যানিমিয়া। বিভিন্ন কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হতে পারে। তার মধ্যে পুষ্টিহীনতা হচ্ছে প্রধান কারণ। কোন কারনে যদি শরীরে কোথাও থেকে রক্তপাত হয় তখন রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। তবে একজন সুস্থ ব্যক্তির হিমোগ্লোবিন খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। কিন্তু অপুষ্টি জনিত কোন ব্যক্তির হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে না। আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়েরাই অ্যানিমিয়াতে ভোগে। কারণ প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের জন্য যে স্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয় তা পূরণের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান আর সেটার অভাবে দেখা দেয় এনিমিয়া। বাচ্চাদের শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো চলবে না তার পাশাপাশি ছয় মাস থেকে বাড়তি পুষ্টিকর খাবারও তাদের দিতে হবে। তাহলে পুষ্টির অভাব থেকে কিছুটা প্রতিকার পাওয়া যাবে
- রাতকানাঃ বেশ কিছুদিন ধরে যদি খাবারে ভিটামিন এ এর অভাব পড়তে থাকে তাহলে চোখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। আমাদের আশেপাশে সবুজ শাক-সবজি রয়েছে যাতে পাওয়া যাবে ভিটামিন এ এবং হলুদ শাকসবজি ও ফলে ও রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ এর অভাবে সাধারণত রাতকানা রোগ দেখা দেয়। রাতকানা হচ্ছে এক ধরনের রোগ যা অল্প আলোতে বা রাতের বেলায় দেখতে সমস্যা হয়।
- বেরিবেরিঃবেরিবেরি হলে পা ফুলে যায় আঙ্গুল দিয়ে টিপলে সেই জায়গাটা দেবে যায় বা অবশ হয়ে যাই এবং চলাচল করতে পারে না। শরীরে যদি থায়ামিনের অভাব হয় তাহলে এই রোগ দেখা দেয় এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গমের আটার রুটি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাবার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও ছোলা বীজ, মটর, কলিজা,দুধ ইত্যাদিতে যথেষ্ট পরিমাণ নাই আমিন রয়েছে তাই আমাদের দৈনন্দিন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিন যুক্ত খাবার রাখা উচিত।
- স্কার্ভিঃসাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে এই রোগ হয়। স্কার্ভি রোগ হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে ও দাঁত নড়বড়ে হয়ে যায়। ভিটামিন সি অভাব শিশুদের মাঝে প্রায় দেখা দেয়। এর প্রধান উৎস হল শাকসবজি ও টক জাতীয় ফল। যেমন-টমেটো, আমলকি, পেয়ারা, লেবু, আমড়া ও বাতাবি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এর অভাবে হাত পায়ের গিঁটে ব্যথা হয় এবং শরীরের কোন ক্ষত সহজে সারতে চায় না। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাবারে ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খাওয়া উচিত।
- গলগন্ডঃ বাংলাদেশে অনেক মহিলাদের এই রোগ দেখা দেয়। এই লোককে স্থানীয় ভাষায় ঘ্যাগ রোগ বলা হয়। এই রোগ উত্তরাঞ্চলের মহিলাদের বেশি দেখা দেয়। আমাদের শরীরে যখন আয়োডিনের অভাব দেখা দেয় তখন গলগন্ড রোগ হয়। আমাদের শরীরে খুব কম পরিমাণে আয়োডিনের প্রয়োজন হয় কিন্তু তাও উপযুক্ত খাওয়ার খাবার অভাবে তা পূরণ হচ্ছে না। আয়োডিনের প্রধান উৎস হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ ও প্রাণী। তাই আমাদের আয়োডিনের অভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আয়োডিনযুক্ত লবণ ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
অপুষ্টি প্রতিরোধের উপায়
- সঠিক খাদ্যাভ্যাসঃখাবার সঠিকভাবে গ্রহণ করা উচিত অপুষ্টি প্রতিরোধের জন্য। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা উচিত। প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, ডাল, ডিম, মাংস ইত্যাদি। এগুলো নিয়মিত খেতে হবে এবং এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি ও খেতে হবে।
- সঠিক ডায়েট প্লান অনুসরণঃপ্রায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে এবং নিয়ম মত খাবার খেতে হবে। খাবার সব সময় সময় দিয়ে খেতে হবে তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া উচিত নয়। কে হজমের সমস্যা হয় এবং পুষ্টি ঠিক মতন পাওয়া যায় না।
- খাবার সংগ্রহণ ও পরিবর্তনঃপ্রতিদিন নতুন নতুন এবং বৈষম্য মুক্ত খাবার সংগ্রহন করতে হবে।
- পানির পরিমাণ পূরণঃপ্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় লিটার পানি পান করা উচিত।
- যোগাযোগ এবং শরীরের পরিস্থিতির অনুসরণঃপ্রাথমিক চিকিৎসা এবং পরামর্শের জন্য চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট এবং খাদ্যাভাস করা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির শারীরিক লক্ষণ-অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি কি সম্পর্কে সঠিক এবং ভালো ধারণা পেয়েছেন।আমার আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url