রাইস ওয়াটার ফর স্কিন-রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি রাইস ওয়াটার ফর স্কিন এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন রাইস ওয়াটার সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে। সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।
রাইস ওয়াটার ফর স্কিন-রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি রাইস ওয়াটার ফর স্কিন সেই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জেনে নিতে পারেন রাইস ওয়াটার সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্যগুলো। তাই রাইস ওয়াটার সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা-রাইস ওয়াটার ফর স্কিন-রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা

ত্বকের যত্নের জন্য আমরা কত কি না করি। কিন্তু ত্বকের যত্নের জন্য ব্যয়বহুল কোন পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। হাতের কাছে রয়েছে চালের পানি এটা ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। জাপানি এবং কোরিয়াতে ত্বকের যত্নে চালের পানি বহুদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে তারা ত্বক এবং চুলের যত্নে এই চালের পানি খুব উপকারী বলে মনে করেন।

রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা

সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক আমাদের সবারই একটা স্বপ্ন। এমনকি আমাদের ত্বকে যদি একটা দাগ দেখা দেয় বা কোন রকম একটু ব্রণ বের হয় তবে আমরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিন্তু আমরা জানি না যে হাতের কাছে খুবই সস্তায় একটা উপাদান ব্যবহার করলে আমরা পেতে পারি দাগ হীন ও উজ্জ্বল ত্বক। চালের পানি আমাদের ত্বকও চুলের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা গুলোঃ
  • চালের পানি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি অমসৃণ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। চালের পানি ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং সন্ধ্যায় ত্বকের টোন বের করতে সাহায্য করে। অনেক বড় স্কিন কেয়ার কোম্পানি ও তাদের পণ্যে চালের পানি ব্যবহার করে থাকে। চালের পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের কোষের পূর্ণ গঠন এবং ত্বকের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে ত্বককে করে উজ্জীবিত মসৃণ ও উজ্জ্বল।
  • চালের পানিতে এন্ট্রি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বকের ক্যান্সার থেকে ও ত্বককে রক্ষা করে।
  • চালের পানি নিয়মিত ব্যবহারে আমাদের ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। যার ফলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়। ত্বকের মৃত কোষ ত্বককে করে খসখসে এবং অমসৃণ। তাই ত্বকের মৃত কোষ দূর করা খুবই জরুরী। চালের পানি আমাদের এই মৃত কোষ কে দূর করতে সাহায্য করে।
  • চালের পানিতে থাকে এন্টি অক্সিডেন্ট গুণ। তাই এটি নিয়মিত ব্যবহারে সূর্যের তাপে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। চালের পানি ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব এবং চুলকানি কমাতে ও সাহায্য করে।
  • চুলের জন্য চালের পানি বেশ উপকারী। শুষ্ক ,প্রাণহীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য এটি খুবই উপকারী। এটা নিয়মিত ব্যবহারের খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • চালের পানিতে যে স্টাচ পাওয়া যায় তা ত্বকের বাধাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। চালের পানি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায় না, যার ফলে বার্ধক্যের লক্ষণ যেমন বলিরেখা, কালো দাগ ইত্যাদি কম দেখা যায়।

রাইস ওয়াটার ফর স্কিন

ত্বকের যত্নে আমরা সবাই কোন না কোন কিছু ব্যবহার করে থাকি। তবে হাতের কাছে খুব সহজেই পাওয়া যায় যা আমাদের ত্বককে করবে কোরিয়ানদের মতন সুন্দর। তেমনি একটি জিনিস হচ্ছে রাইস ওয়াটার যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। রাইস ওয়াটার আপনারা টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। 
রাইস ওয়াটার হচ্ছে কোরিয়ানদের বিউটি ট্রেন্ড যা এখন ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই এখন প্রায় ঘরে ঘরে সৌন্দর্য বাড়াতে ভাতের পানির ব্যবহার অনেকটা বেড়ে গেছে। ভাতের পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থ। যা ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। 

রাইস ওয়াটার ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী একটি এনজাইম ইলাস্টেজের কার্যকলাপকে ও বাধা দিতে পারে। তাছাড়া চোখের নিচে কালশিটে দাগ এবং মুখে নানা রকম দাগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোরিয়া ও জাপানের মহিলারা এই রাইস ওয়াটার ব্যবহার করে থাকেন। ত্বককে উজ্জ্বল করতে রাইস ওয়াটার খুব ভালো কাজ করে। 
সানবার্নের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ভাতের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গরমের সময় এটা ব্যবহার করলে বেশি উপকারে আসবে। এছাড়াও গরমে ত্বকে তেলতেলে ভাবকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভাতের পানি গুরুত্ব অপরিসীম।

রাইস টোনারের উপকারিতা

  • চালের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ পদার্থ যা ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে সাহায্য করে। চালের পানি বার্ধক্যেরজন্য দায়ী একটি এনজাইম ইলাস্টেজের কার্যকলাপকে বাধা দিতে পারে।
  • চোখের নিচে কালশিটে দাগ দূর করতে ও এটা বেশ কার্যকর।
  • রাইস টোনার আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাইস টোনারের উপকারিতা গুলো
  • এটা ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বককে পরিষ্কার ও ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বকের ভেতর তেল এবং জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

রাইস টোনার ব্যবহারের নিয়ম

মুখ ধোয়ার পরে একটু তুলোর বলে উপযুক্ত পরিমাণে রাইস টোনার লাগান এবং এটা আলতো করে সমস্ত মুখমণ্ডল মুছে নিন।

রাইস ওয়াটার বানানোর পদ্ধতি

কোরিয়ান নারীরা তাদের ত্বকের এবং চুলের যত্নে ঘরোয়াভাবে সমস্যা সমাধান করে আসতেছেন যুগ যুগ ধরে। তাইতো তাদের ত্বক এবং চুল খুবই সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জল দেখায়। তাদের এই গোপন রূপের রহস্য হচ্ছে রাইস ওয়াটার। যা আমরা খুব সহজে পেতে পারি। রাইস ওয়াটার প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যত্নে কাজ করে থাকেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে কিভাবে রাইস ওয়াটার আমরা তৈরি করতে পারি।
  • প্রথমে এক কাপ পরিমাণ চাল নিতে হবে এবং চালটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
  • তারপর দু কাপ পরিমাণ পানি নিতে হবে।
  • এখন এই পানিতে চালগুলো আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • আধা ঘন্টা পর পানি ঘোলা হয়ে গেলে পানিটা ছেকে নিতে হবে।
  • ব্যাস হয়ে গেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য রাইস ওয়াটার তৈরি।

চালের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম

  • ফেসওয়াশ: রাইস ওয়াটার ফেসওয়াশ এবং বডি ওয়াশ দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। প্রথম একটি কটন বল নিয়ে সেটা‌ রাইস ওয়াটারে ডুবিয়ে নিন। তারপর আপনার ত্বকে কটন বল দিয়ে মেখে নিন। এভাবে দুই মিনিট রেখে দেয়ার পরে পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এখন মুখটা শুকনো নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে তারপর কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। এবার আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা থেকে নিজে অবাক হয়ে যাবেন। এভাবে প্রতিদিন রাইস ওয়াটার ব্যবহার করলে ত্বক হবে কোমল , মসৃণ এবং উজ্জ্বল।
  • ফেসিয়াল টোনার: একটি বোতলে প্রথমে রাইস ওয়াটার নিন। তারপর এটি মুখে মেখে আলতো করে মেসেজ করুন। এই টোনারটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বকের কোষের বৃদ্ধি ও রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ত্বককে করবে উজ্জ্বল এবং মসৃন।
  • ব্রণ প্রতিরোধে: রাইস ওয়াটার ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ত্বকে যেখানে ব্রণ রয়েছে একটি কটন বল দিয়ে রাইস ওয়াটার সেখানে আলতো ভাবে লাগিয়ে নিন এবং কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। রাইস ওয়াটার আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি লাগচে ভাব ও দূর করতে সাহায্য করে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন রাইস ওয়াটার ফর স্কিন,রাইস ওয়াটার এর উপকারিতা, রাইস টোনারের উপকারিতা,রাইস ওয়াটার বানানোর পদ্ধতি এবং চালের পানি মুখে দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য।
আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। এছাড়া ও আপনি যদি বিউটি টিপস বিষয়ক আরো কিছু জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url