কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম-পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে। সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা এই বিষয় সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।
কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম-পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জেনে নিতে পারেন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্যগুলো। তাই কাঁচা পেঁয়াজ সম্পর্কে জানতে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা

পেঁয়াজের রয়েছে বহুগুণ।মানবদেহে এর উপকারিতার শেষ নেই। পেঁয়াজ আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়াই। শুধু খাবারের স্বাদ নয় এটি আমাদের নানান রকম রোগের নিরাময়ে ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে রয়েছে ফাইটো কেমিক্যাল নামক এক পুষ্টি উপাদান যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেই পেঁয়াজের উপকারিতা গুলোঃ
  • হজম শক্তি বাড়ায়ঃযাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন একটু কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে পেঁয়াজ। এজন্য পেঁয়াজ খেলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
  • চুল পড়া কমায়ঃপেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার। যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুল পড়া রোধ, চুল ভেঙ্গে যাওয়া রোধ এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • সংক্রমণ প্রতিরোধেঃএন্টি মাইক্রোবিয়াল, এন্টি সেপটিক, এন্টিবায়োটিক এবং কামিনেটিভ জাতীয় পদার্থ রয়েছে পেঁয়াজের মধ্যে। এসব পদার্থ থাকায় শরীরের সংক্রমণ সারাতে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। তাছাড়া পেঁয়াজের রস এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশি সমস্যা দূর হয়। ঠান্ডার জন্য গলা ব্যাথা, সর্দি-কাশি, জ্বর এবং সামান্য গা ব্যথার মত সমস্যা সমাধানে ও পেঁয়াজের গুরুত্ব রয়েছে।
  • রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেঃশরীরের রক্ত চলাচল ঠিক থাকলে শরীরে কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে যার ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং হার্টের অসুখের সম্ভাবনা ও কমে।
  • দাঁতের সংক্রমণ রোধেঃদাঁতের জন্য পেঁয়াজ খুব উপকারী। পেঁয়াজ দাঁতের সংক্রমণ রোধ করতে বেশ উপকারী। দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা জীবাণুগুলো মরে যাওয়ার জন্য পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে উপকার হবে। আর এতে দাঁতের সংক্রমণের সম্ভাবনা ও কমবে।
  • গেটে বাত দূর করতেঃপেঁয়াজের রস সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে গেটে বাতের ব্যথা দূর হয়।
  • মাথাব্যথা দূর করতেঃপেঁয়াজের রস মাথায় লাগালে বা খেলে মাথাব্যথা দূর হয়।
  • অজ্ঞান রোগীর জ্ঞান ফেরানোর কাজেঃপেঁয়াজ চার টুকরা করে কেটে নিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে তারপর কোন অজ্ঞান রোগীর নাকের কাছে এনে শুকালে তার জ্ঞান ফেরাতে সাহায্য করে।
  • নাকে রক্ত পড়া বন্ধ করতেঃপেঁয়াজ থেতো করে সেই রসের ফোঁটা নাকে দিলে নাকের রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যেতে সাহায্য করে।
  • মাসিক নিয়মিত করনেঃমাসিক নিয়মিত করণে এটা ভালো কাজ করে।টাটকা পেঁয়াজ কুচি খেলে মাসিক নিয়মিত হতে সাহায্য করে এবং সেই সময় পেটের ব্যথা কমাতে ও সহায়তা করে।
  • অশ্ব রোগ সারাতেঃপেঁয়াজ মিহি কুচি করে কেটে তাতে দই এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে রোজ সকালে নিয়মিত খেলে অশ্ব রোগীদের পায়খানার রাস্তায় রক্ত পড়া বন্ধ হয় এবং এই রোগ সারাতে ও সাহায্য করে।
  • বদহজম দূর করতেঃপেঁয়াজের রস এক ঘন্টা অন্তর অন্তর পানি মিশিয়ে খাওয়ালে বদহজমের জন্য পেটে যে সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং বমি বমি ভাব হয় সেটা দূর করতে সাহায্য করে।
  • আমাশা দূরীকরণেঃপেঁয়াজ মিহি করে পিষে নিয়ে তাতে টক দই মিশিয়ে দিনে তিনবার খাওয়ালে আমাশা ও রক্ত আমাশা বন্ধ হয়ে যায় এবং পায়খানার বেগ ও বন্ধ হয়ে যেতে সহায়তা করে।
  • বাচ্চাদের কৃমি দূর করতেঃযে সকল বাচ্চারা ভাত খাওয়া শিখেছে এবং যাদের কৃমির সমস্যা হচ্ছে সেই সকল বাচ্চাদের এক চামচ পেঁয়াজের রস নিয়ম করে খাওয়ালে কৃমি রোগ হতে মুক্তি পাবে এবং বাচ্চাদের বদহজম ও সেরে যাবে।
  • বাচ্চাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করতেঃপেঁয়াজের রসের সাথে গুর মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ালে পারেন তো বাচ্চাদের দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।
  • স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতেঃনিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে ব্রেন ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে ও সাহায্য করে।

খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয়

আমরা অনেকেই পেঁয়াজ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানি না পিয়াজ কিভাবে খেতে হয় কখন খেতে হয় সেটা সঠিকভাবে আমাদের জানা নেই তবে খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় সেটা আমাদের সঠিকভাবে জানতে হবে। চলেন এবার আমরা সঠিকভাবে জেনে নেই খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
  • সকালে নিয়মিত পেঁয়াজের রস খালি পেটে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে অনেকটা সহায়ক হবে। কারণ পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক।
  • আবার যাদের বাড়তি ওজন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস নিয়মিত খেলে ওজন ও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
  • নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে পারলে পেট পরিষ্কার করতে সহায়ক হয়। এতে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
  • পেঁয়াজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত সকালে খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ দূর হয়।
  • তাছাড়া নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে যৌন ক্ষমতা ও বাড়তে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা

পেঁয়াজ খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অনেক উপকারিতা ও রয়েছে। পেঁয়াজ খাওয়ার গুনাগুন সম্পর্কে যেমন আমরা জানি তেমনি এর ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের জানতে হবে এবং শেষ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে নিয়মমাফিক কোন কিছু খেলে তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয় না তবে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত উপকারের আশায় বেশি করে খেলে সেটা উপকারের চাইতে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পেজের ব্যাপারেও একই নিয়ম দেখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
  • চোখের সমস্যাঃপেঁয়াজে থাকে সালফিউরিক অ্যাসিড। তাই পেঁয়াজ কাটার সময় এর ঝাঁঝালো রস চোখে লাগে এবং আমাদের চোখ থেকে পানি বের হয়। তবে এই সালফিউরিক এসিড আমাদের চোখের জন্য খুব ক্ষতি করে। এটা চোখের সংস্পর্শে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া করে। এমনকি এটা মানুষকে অন্ধ করে দিতে পারে।
  • এলার্জির সমস্যাঃযাদের অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য পেঁয়াজ খাওয়া নিরাপদ নয়। কারণ যাদের অ্যালার্জি সমস্যা থাকে তারা পেঁয়াজ খেলে আরও এলার্জি বেড়ে যায়। যার ফলে ত্বকে লাল লাল ভাব এবং চোখ লাল ভাব হয়ে যায়। ত্বকে চুলকানি, শরীরে জ্বালাপোড়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা ইত্যাদির মত লক্ষণ গুলো ও দেখা দিতে পারে।
  • গ্যাসের সমস্যাঃঅতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • মুখে দুর্গন্ধঃপেঁয়াজ বেশ গন্ধযুক্ত। তাই পেঁয়াজ খেলে মানুষের মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। কাঁচা পেঁয়াজ মুখে এবং শ্বাসকে অনেক সময় ধরে দুর্গন্ধযুক্ত রাখতে পারে। সেজন্য কাঁচা পেঁয়াজ না খাওয়াই উত্তম।

পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায়

এখন পেঁয়াজের দাম বেশি। দিন দিন এটা বেড়েই চলেছে। তাই মানুষ পেঁয়াজের বাড়তি মূল্য নিয়ে বেশ চিন্তিত। পিয়াজের দাম এত উর্ধ্বগতির জন্য অনেকে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে পারলে ভালো তাই ভাবছেন। কিন্তু কিছু সময় পেঁয়াজের দাম কম পাওয়া যায়। সেই সময় পেঁয়াজ কিনে সংরক্ষণ করতে পারলে তাও বেশ কিছুদিন ভালোভাবে চিন্তা মুক্ত থাকা যাবে। এর জন্য জানতে হবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই আমরা কিভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারি।
  • শুকনো জাগায় রাখতে হবেঃপ্রথমে খোসাশুদ্ধ পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য পেঁয়াজগুলো শুষ্ক জাগায় রাখতে হবে। ভেজা জাগায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে না। তবে সেখানে যেন অন্ধকার না হয় আলো বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় পেঁয়াজগুলো ছড়িয়ে ফাকা ফাকা করে রাখতে হবে। তাহলে পেঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। প্রথমে বাজার থেকে পেঁয়াজ আনার পর পেঁয়াজগুলো বস্তার উপরে বা খবরের কাগজের উপর ছরিয়ে রাখতে হবে।
  • ভিনেগার দিয়ে সংরক্ষণ পদ্ধতিঃঅনেকে কাঁচা পেঁয়াজ খিচুড়ি বা ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই পছন্দ করেন। আবার নানান রকম ভর্তাতেও কাঁচা পেঁয়াজ দরকার হয়। এসব খাবারের জন্য আমরা পেঁয়াজের আচার করে সংরক্ষণ করতে পারি। পেঁয়াজ কুচি করে তাতে মসলা ভিনেগার ও লবণ দিয়ে কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করতে পারি।
  • ফ্রিজে সংরক্ষণঃপেঁয়াজ বাটা বা কাটা অবস্থায় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু ফ্রিজে পেঁয়াজ খোলা অবস্থায় রাখলে অন্যান্য খাবার এবং ফ্রিজ দুটোই দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে কোনো এয়ার টাইট বক্সে পেঁয়াজ বাটা বা পেঁয়াজ কাটা রেখে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কিন্তু ফ্রিজের নরমাল অংশে এটা বেশিদিন রেখে ব্যবহার করা যায় না। এক্ষেত্রে দু একদিনের জন্য কোন এয়ার টাইট বক্সে পেঁয়াজ কাটা বা বাটা ফ্রিজের নরমাল অংশে রাখতে পারেন। এতে কোন প্রকার গন্ধ ছড়াবে না।
  • বেরেস্তা বানিয়েঃপেঁয়াজ কুচি করে কেটে তেলে ভেজে বাদামি রং করে নিতে হবে। তারপর এটা ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা এয়ারটাইট বক্সে রেখে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরে এটা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে।
  • গুড়া পেঁয়াজঃএটা বিভিন্ন দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। বিভিন্ন কোম্পানিরা পেঁয়াজ, আদা, রসুন ইত্যাদির গুঁড়া তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে সংরক্ষণ করে থাকেন এবং সেটা পরে বাজারজাত করেন। পেঁয়াজ যখন কম দাম থাকে তখন এই পেঁয়াজের গুড়াটা কিনে সংরক্ষণ করলে অনেকটা উপকার আসবে।পেঁয়াজের দাম বাড়লে তখন আমরা সংরক্ষিত পেঁয়াজের গুড়াটা ব্যবহার করতে পারব।

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়-না। কারণ কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়াটা মাকরূহ এবং ইসলামে অপছন্দনীয়। মহানবী (সাঃ) একটি হাদিসে বলেছেন, যদি কেউ কাঁচা পেঁয়া্‌ কাঁচা রসুন বা দুর্গন্ধযুক্ত কোন খাবার খায় এবং তার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, সে যেন মসজিদে আমার কাছে না আসে। 
অর্থাৎ কেউ যদি মসজিদে আসার আগে কাঁচা পেঁয়াজ বা রসুন খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে আসবে, যাতে তার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের না হয়। কারণ আপনার মুখ থেকে যদি দুর্গন্ধ বের হয় পেঁয়াজের অথবা রসুনের তাহলে ওই গন্ধটা অন্যদের কষ্ট দিবে ।তাই মসজিদে আসার আগে অবশ্যই মুখের গন্ধ দূর করে যাওয়া উচিত হবে। 

এই কারণেই কাঁচা পেঁয়াজ রসুন খাওয়া হচ্ছে মাকরূহ ও অপছন্দনীয় কাজ। পেঁয়াজ খাওয়া নাজায়েজ বা হারাম নয়। এটা মাকরূহ করা হয়েছে এর অতিরিক্ত গন্ধের কারণে। আপনি কাঁচা পেঁয়াজ এবং রসুন খেতে পারেন, তবে খাওয়ার পরে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে গন্ধ দূর করতে হবে। তাহলে এটা খেতে কোন বাধা বা নিষেধ নেই।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি হারাম,খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় ,পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা ,পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা এবং পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কিত সকল তথ্য।
আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। এছাড়া ও আপনি যদি লাইফ স্টাইল বিষয়ক আরো কিছু জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url