খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা - সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। চিন্তার কারণ নেই কেননা আমার এই আর্টিকেলের ভেতর খেজুর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আরো আলোচনা করা হয়েছে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে ও।
খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা - সম্পর্কে জানুন
পোস্ট সূচিপত্রঃএখানে শুধু খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই। এছাড়া ও এখানে খেজুর সম্পর্কে আরো নানান তথ্য নিয়ে ও আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা - খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর হচ্ছে সুস্বাদু এবং বেশ পরিচিত একটি ফল। রোজার মাসে ইফতারিতে আমরা সবাই খেজুর মুখে দিয়ে পানি খেয়ে থাকি। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছরই আমরা খেজুর খেতে পারি।

খেজুরের পুষ্টিগুণ

খেজুর হচ্ছে পুষ্টিগুণে ভরা একটি সুস্বাদু ফল। চলুন জেনে নেই খেজুরে কতটুকু পুষ্টিগুণ রয়েছে।
উপাদানপরিমাণ
ক্যালোরি২৭৭ গ্রাম
প্রোটিন১.৮১ গ্রাম
চর্বি০.১৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট৭৫ মিলিগ্রাম
ফাইবার৬.৭ গ্রাম
ভিটামিন এ৩%
ভিটামিন বি৬০.২৫ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম৫৪ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম৬৯৬ মিলিগ্রাম
তামা০.৩৬ মিলিগ্রাম

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুরের উপকারিতা

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। খেজুরে রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস। চলুন এবার তাহলে জেনে নেয়া যাক খেজুরের উপকারিতা গুলোঃ
  • সারাদিন রোজা রাখার পরে দুই একটা খেজুর খেলে শরীরের গ্লকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আর খেজুর মুখে দেওয়ার পরে সারাদিনের ক্ষুদা কমে কমে যায়।
  • শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করতে খেজুরের ভূমিকা অপরিসীম। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারের সময় খেজুর খেলে শরীরে অনেকটা শক্তি পাওয়া যায়।
  • খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ডি টক্সিফাই করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • খেজুরে রয়েছে ২০-২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • হৃদপিণ্ডের কার্য ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের ভূমিকা অনেক।
  • খেজুরে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে।
  • নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
  • খেজুরে থাকা লিউটেন এবং জিক্সাথিন নামক উপাদান চোখের রেটিনা ভালো রাখে। সেজন্য নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
  • খেজুরে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
  • খেজুরে রয়েছে আয়রন তাই খেজুর খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে তারা প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
  • খেজুরে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের হাড়ের গঠন ও হাড়ের ক্ষয় পূরণে সহায়ক হয়।
  • নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক ভালো থাকে।
  • সব রকমের ফলের মধ্যে খেজুরে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছরই আমরা পরিমান মতো খেজুর খেতে পারি। এতে আমারা বিভিন্ন রোগ হতে মুক্তি পেতে পারি।

খেজুরের অপকারিতা

খেজুর অনেক উপকারী একটি ফল তবু ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ খেজুরে গ্লকোজের পরিমাণ বেশি আছে যা ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে গ্লকোজের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। খেজুর খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা ও বেশি হতে পারে তাই যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো।

পুরুষের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

ইতিমধ্যে আমরা খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো পুরুষের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু সেই সম্পর্কে। খেজুর হচ্ছে আমাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তিবর্ধক একটি ফল। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

খেজুরে রয়েছে খনিজ,আয়রন, ক্যালসিয়াম, চিনি, পটাশিয়াম জাতীয় অনেক উপকারী উপাদান। আর এই উপাদানের কারণে এই ফলটি অনেক পুষ্টিকর। এই ফলটি পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্যই উপকারী। তবে খেজুর পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শুক্রানুর সংখ্যা ও বাড়াতে সহায়তা করে।

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর হচ্ছে শরিরের জন্য দারুন উপকারী একটি ফল। তাই প্রতিদিন খেজুর খেলে শরীরে অনেক এনার্জি পাওয়া যাবে। খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে ও এর ভূমিকা অপরিসীম। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা দূর হয়।
  • খেজুর মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতে খেজুরের গুরুত্ব অনেক। কারণ খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। খেজুরে রয়েছে প্রচুর আয়রন তাই গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। গর্ভবতী নারীরা প্রতিদিন ১-২ টি খেজুর খেতে পারে।
  • খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়রন যা শরীরের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়ায়। খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বেড়ে যায়।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের মুখের চামড়া কুঁচকে যায়। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি যা মুখের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ কমে যাবে এবং ত্বক টানটান হবে।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্ট মজবুত হয়। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। হৃদরোগ কমাতে ও খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • এক থেকে দুইটি খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওই খেজুর সহ পানিটুকু খেলে খুশখুসে কাশি থেকে উপশম পাওয়া যায়।
  • চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ও খেজুরের গুরুত্ব অনেক। কারণ খেজুরের মধ্যে যে তেল রয়েছে সেটি চুলের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত খেজুর খেলে চুল পড়া সমস্যার সমাধান হয়।
  • খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার মুখের ভেতরের ক্যান্সার রোধে ও এই খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

মিষ্টি স্বাদের এই শুকনো ফলে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে। এদিকে ওজন কমানোর জন্য এবং আয়োডিনের ঘাটতি পূরণের জন্য খেজুরের ভূমিকা অনেক। খেজুর খেলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। এত উপকারী একটি ফল যতই সাস্থ্যকর হোক না কেন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত খেজুর খেলে হতে পারে নানান রকম সমস্যা।
  • প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত খেজুর খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়া হওয়ার ও আশঙ্কা রয়েছে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তবে অতিরিক্ত ফাইবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
  • খেজুর সংরক্ষণ করার জন্য সালফাইট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। সালফাইট শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই অতিরিক্ত খেজুর খেলে ত্বকের র‍্যাস, চুলকানি ও লাল হয়ে যাওয়া সহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
  • ওজন কমানোর জন্য অনেকে খেজুর খেয়ে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে খেজুরে ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ২.৮ গ্রাম। তাই অতিরিক্ত খেজুর ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। সেজন্য প্রতিদিন চারটির বেশি খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ খেজুর খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের ও খেজুর না খাওয়া ভালো কারণ খেজুর খেলে অনেক সময় এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।
সেজন্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খাওয়া উচিত। আর খেজুর প্রতিদিন না খেয়ে একদিন পরপর পরিমাণ মতো খেজুর খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়। প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় বিষয় সম্পর্কে।

খোরমা খেজুরের উপকারিতা

খেজুর অতি মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এবং প্রচুর খাদ্যগুণ, আয়রন ও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও এমাইনো এসিড।
  • খোরমা খেজুর হৃদপিন্ডকে সুস্থ এবং সবল রাখে এবং রক্ত চাপের জন্য খুবই উপকারী। এটি ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।
  • খেজুর শারীরিক শক্তি জোগাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খোরমা খেজুরের শতকরা ৮০ ভাগই চিনি এবং সে কারণেই সরাসরি রক্তে চলে যায়। আর সে জন্যই শুকনো খেজুর কে মরুভূমির গ্লকোজ বলা।
  • খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি যা নার্ভকে শান্ত করে ফলে রক্তচাপ কমে।
  • এটি মনকে সতেজ রাখে ফলে মনে প্রফুল্লতা আসে।
  • শুকনো খেজুরে রয়েছে সলিবল এবং ইনসলিবল ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যামাইনো এসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। যার ফলে হজমের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • নিয়মিত খোরমা খেজুর খেলে স্টোকের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় তাই স্টোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত খোরমা খেজুর খেতে পারেন।
  • নিয়মিত শুকনো খেজুর খেলে পুরুষের শরীরের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এটি বীর্য বৃদ্ধি করতে ও সহযোগিতা করে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুর মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয়। একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন দুই-তিনটি খেজুর খেতে পারেন। তবে যারা বেশি পরিশ্রম করে তারা পরিশ্রম শেষে এর পরিমাণ একটু বেশি করে খেতে পারেন যেমন দিনে ৪-৫ টি খেতে পারে। মোটকথা একজন মানুষের তার শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে সে কয়টা খেজুর খেতে পারবে। প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুরে রয়েছে প্রচুর ফাইবার আর এই ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অনেকে বুঝতে পারে না এটা কখন খাবে। রাতে খাবে না সকালে খাবে,খালি পেটে খাবেন এইভাবে তারা চিন্তা করতে থাকেন। খেজুরে চিনির পরিমাণ বেশি থাকলে ও এটি সঙ্গে সঙ্গে শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। তাই ব্যায়াম করার এক ঘণ্টা আগে চারটা খেজুর খাওয়া যেতে পারে। 
খেজুরে উপস্থিত কার্ভসগুলো ধীরে ধীরে নিঃসৃত হয় ফলে ব্যায়ামের সময় শরীর থাকে এনার্জেটিক। আবার এতে থাকা ফাইবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেজুর খাওয়া যেতে পারে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস এবং হৃদপিন্ড ও লিভার সুস্থ রাখতে সকালে খেজুর খাওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে লেবার পেইন অনেকটা কম হয়। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে ইউটেরাসের সংবেদনশীলতা কমিয়ে ইউটেরাসকে শক্তিশালী করে যার ফলে প্রসব বেদনা কম হয়। এজন্য গর্ভাবস্থার ৩৫ সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ৬ টি করে খেজুর খেলে তা মা ও অনাগত শিশুর জন্য বেশ উপকারী হয়। 
সেই সঙ্গে সন্তান জন্ম দেওয়া ও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে প্রসবের সময় সার্ভিস অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল হয় এবং সন্তান প্রসব সহজ হয় সেই কারণে লেবারের সময় মাকে কম কষ্ট পেতে হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা, পুরুষের জন্য খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, খোরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয় বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য। 

আমাদের আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করুন। এছাড়া ও আপনি যদি লাইফ স্টাইল বিষয়ক আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url