গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কি গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ঘি খাওয়া সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে। সেই সাথে আজকের আর্টিকেল থেকে ত্বকের জন্য ঘিয়ের ব্যবহার এই সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
পোস্ট সূচিপত্রঃআপনি যদি গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে আপনি জেনে নিতে পারেন ঘি খাওয়া সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্যগুলো। তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা-গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

ঘি বাঙ্গালীদের জন্য একটি প্রিয় খাবার। এটা সুপার ফুড নামে পরিচিত। বাঙালি মানুষেরা ভোজন রসিক তাই তারা প্রতিটি খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘি ব্যবহার করে থাকে।

ঘি এর পুষ্টি উপাদান

ঘি তৈরি হয়  দুধ থেকে এটা আমরা প্রত্যেকেই জানি। দুধে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে খাঁটি ঘিতে ও ঠিক সেই পুষ্টি উপাদান গুলোই রয়েছে। এছাড়া ও ঘিতে কিছু নিজস্ব পুষ্টিগুণ ও রয়েছে।
ভিটামিন কে
ঘিতে রয়েছ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট এবং হাড় শক্ত করার কাজে লাগে। সেজন্য অপারেশনের পরে এবং হাড়ে আঘাত পেলে ঘি খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হাড়, দাঁত এবং মাংসপেশী সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন ডি তে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। নিয়মিত ভিটামিন ডি খেলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
ভিটামিন এ
ঘি এর মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি, শারীরিক বৃদ্ধি এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিডেন্ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কাজ করে। আর এই ভিটামিন ই ঘিতে পরিমাণ মতো থাকে।
ওমেগা থ্রি
শরীরের কর্ম ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ওজন কমানোর জন্য দেহে বেশি বেশি ওমেগা থ্রি উপাদানের প্রয়োজন পড়ে। আর ঘিতে রয়েছে বেশি পরিমাণে অমেগা থ্রি।
এন্টিঅক্সিডেন্ট
ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কনজুগেটেড লিনোলিক এসিড
ঘিতে থাকে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ঘিতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। এগুলো শরীরে বিভিন্ন উপকারে আসে যেমন-চুল পড়া রোধ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,হার্টের কমক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মাংসপেশী ও হাড় মজবুত করে। তাই আমাদের সঠিক নিয়ম মেনে ঘি খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ঘি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

ঘি এর উপকারিতা

  • এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা চিরতরে দূর করে।
  • দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় রাখে।
  • নিয়মিত ঘি খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
  • ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে ত্বককে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল। নিয়মিত গিয়ে খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়।

ঘি এর অপকারিতা

সব কিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাইরে কোন কিছুই ঠিক না। তাই ঘি নিয়মিত খেলে অনেক উপকার রয়েছে তেমনি মাত্রা থেকে বেশি খেলে অপকারিতা ও রয়েছে। তরুণ এবার জেনে নেওয়া যাক ঘিয়ের অপকারিতা গুলোঃ
  • অতিরিক্ত ঘি খেলে পরিপাকতন্ত্র কাজ করা কমিয়ে দেয় ।এতে হজমের সমস্যা আরো বেশি হয়।
  • ঘিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বি রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত ঘি খেলে ফ্যাট জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • পরিমাণ থেকে বেশি ঘি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • ঘি একটি দুগ্ধজাত খাবার এর ফলে অতিরিক্ত ঘি খেলে এসিডিটি ও পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘি আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। এটা নিয়মিত এবং পরিমাণ মতন খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার আসে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত খারাপ ঘি বা ভেজাল ঘি খেলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি ও হতে পারে। তাই ঘি খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের জেনে বুঝে খেতে হবে।

বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা

  • বাচ্চাদের পরিপূর্ণ বিকাশ এবং সুস্বাস্থ্য গঠনে ঘি অনেক উপকারী একটি খাবার।
  • শৈশব থেকে সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘি অন্যতম। এতে থাকা প্রাকৃতিক চর্বি এবং এনার্জি সঠিক গ্রোথ এবং ডেভলপমেন্টের কাজ করে। সাধারণত জন্মের সময় ওজন এক বছরে তিন গুণ হয় এটাই স্বাভাবিক। কাজেই ছয় মাসের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের সাথে একটু ঘি সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ঘি ভিটামিন এ থাকা দ্রবনীয় চর্বি শোষণ করতে সাহায্য করে। শিশুর খাবার যদি ঘি থাকে তবে শিশু সহজেই ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে কে শোষণ করতে পারে।
  • শিশুর খাবারে ঘি যোগ করা মানে শিশুকে সংক্রমণ রোগের সূত্রপাত থেকে রক্ষা করা। কেননা ঘি এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের একটি দারুন উৎস।

গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়াতে ঘি এর গুরুত্ব অনেক। ঘি আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অনেকে ভাবে ঘি খেলে ওজন বেড়ে যাবে সেই জন্য ঘি খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ পরিমাণে তুলনায় বেশি ঘি খেলে ক্ষতি হবে। তবে পরিমাণমতন ঘি খেলে শরীরে অনেক উপকারে আসে। তেমনি গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। জেনে নেয়া যাক গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা গুলোঃ
শক্তি বৃদ্ধি করে
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আপনি গরম ভাতে ঘি খেতে পারেন। গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খাওয়া শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। ঘি শরীরের পুষ্টি দেয়। ঘিতে রয়েছ যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাট তাই পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
পানির অভাব দূর করে
শরীরের যদি কোন সময় পানির ঘাটতি দেখা দেয় তখন পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পাশাপাশি ঘি খেতে পারেন। ঘি আমাদের শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। ঘি খেলে আমাদের ত্বক ও ভালো থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গরম ভাতের সঙ্গে ঘি খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। নিয়মিত ঘি খেলে নানা রকমের সংক্রমণ ও অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
শরীর ঠান্ডা রাখে
ঘি আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি খেলে আমাদের মন ও শরীরে এক ধরনের শীতলতা আসে। এটি মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। ফলে গরমে ও ঘি খাওয়া যায়।
হজম ক্ষমতা ভালো রাখে
ঘি হজমে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সামান্য হলেও কমে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও উপকারী।

প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা

ঘিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন। প্রতিদিন ঘি খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। ঘি খেলে আমাদের শরীরের অনেক ভিটামিনের অভাব পূরণ হয় এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা ও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুষ্টি ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরের নানা রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 
এটি নিয়মিত খেলে নার্ভের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ভূমিকা রাখে। নিয়মিত প্রতিদিন সকালে উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে ওজন কমতে সাহায্য করে। ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস যা জয়েন্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। 

এতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা এনার্জির ঘাটতি দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঘি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এর কাজ করে যা নিয়মিত খেলে আমাদের ত্বক এবং ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। শীতকালে প্রতিদিন ঘি খেলে দেহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

রাতে ঘি খেলে কি হয়

প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এর ফলে হজম ভালো হবে এবং পাচনতন্ত্রের প্রদাহ ও কমাতে সাহায্য করে। ঘি হচ্ছে প্রাকৃতিক উপশমকারী যা দুশ্চিন্তা কমায়। তাই শোয়ার আগে ঘি মেশানো দুধ খেলে দুশ্চিন্ত কমবে এবং ভালো ঘুম আসবে।

ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়

কি হচ্ছে একটি উচ্চমানের সুপার ফুড। ঘি দুধ থেকে তৈরি করা একটি খাবার। দুধের তৈরি প্রতিটি খাবারের মধ্যে ঘি হচ্ছে পুষ্টি গুনে সেরা। পুষ্টিবিদরা ঘি কখন খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে একটি মতামত দিয়েছে। মধু এবং ঘি খাওয়ার সব থেকে উৎকৃষ্ট সময় তারা বের করেছেন খালি পেটে খাওয়া। 

আর সকালে একদম খালি পেট থাকে সবার এবং পাকস্থলী ও পরিষ্কার থাকে। তাই এই সময় ঘি খেলে শরীরের পুষ্টি উপাদান অতি দ্রুত কাজ করে এবং তা দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পরে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গিয়ে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়।

ঘি খাওয়ার নিয়ম

ঘি একটি উপকারী ও শক্তিবর্ধক খাদ্য। গরম ভাতের সঙ্গে ঘি খেতে অনেক মজা। ঘি যে শুধু খেতে মজা তা নয় এতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। ঘি নিয়ম মেনে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে আনে। শীতের সময় ঘিয়ের সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানির সাথে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে চুল পড়া সমস্যার সমাধান হয়। 
প্রতিদিন সকালে ঘি খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বার্ন হয়ে অতিরিক্ত চর্বি জমা রোধ করে এর ফলে শরীলের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় ।এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মোটকথা কোনো খাবারে যদি ঘি ব্যবহার করা হয় তবে খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়।

ত্বকের জন্য ঘিয়ের ব্যবহার

ত্বকের জন্য ঘি একটি ভালো উপাদান। মধুর পরে রূপচর্চা জন্য ঘি ব্যবহার হয়ে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঘি দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়।
  • পানির সাথে ঘি মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে মেসেজ করলে কয়েকদিনের মধ্যেই ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে ঘি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আঙ্গুলে কিছু ঘি নিয়ে ঠোঁটে মেসেজ করে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
  • চোখের নিচে কালো দাগ চেহারার জন্য অনেক ক্ষতিকর। চোখের নিচে কালো ডার্ক সার্কেলের জন্য চেহারা দেখতে খুব খারাপ লাগে। কিন্তু এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঘি এর ভূমিকা অনেক।
  • চেহারার উজ্জ্বলতা ফিরে আনতে ঘি এর গুরুত্ব রয়েছে। ঘি, বেসন এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে তা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
  • তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ঘি অনেক উপকারী। তাই নিয়মিত পরিমান মতন ঘি খেলে শরীরের বয়স্ক ভাব দূর হবে।
  • ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে ও ঘি এর গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন গোসলের আগে এক ঘন্টা চুলের আগায় ঘি লাগিয়ে রেখে দিতে হবে এতে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হবে এবং চুল মসৃণ হবে।

ঘি খেলে কি ওজন বাড়ে

ঘি খেলে ওজন বাড়ে এবং কমে দুটোই। কারণ ঘি একটি দুগ্ধজাত খাবার এতে রয়েছে সুপারফুড এর সমপরিমাণ পুষ্টিগুণ। এটি একটি উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার। ঘি এর চর্বিকে উপকারী ফ্যাট বলা হয়। কারন ঘিতে থাকা চর্বি দেহের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট সরবরাহ করে। 

তবে যদি প্রয়োজনের বেশি ঘি গ্রহণ করা হয় তাহলে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতিকর চর্বি ও বৃদ্ধি করে। সেজন্য পরিমানের থেকে অধিক ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি করে। এই কারণে বলা হয় ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধিও করে আবার ওজন নিয়ন্ত্রণ ও করে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সম্পূন্ন পড়ে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা,প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা,বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা,ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ,রাতে ঘি খেলে কি হয় ,ঘি এর পুষ্টি উপাদান,ত্বকের জন্য ঘিয়ের ব্যবহার ,ঘি খেলে কি ওজন বাড়ে ,ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময় ও ঘি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য। 
আমাদের আজকের আর্টিকেল পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে তথ্যবহুল এবং উপকারী বলে মনে হলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু এবং আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। এছাড়া ও আপনি যদি লাইফ স্টাইল বিষয়ক আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url