কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?

প্রিয় পাঠক আপনি কি কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই অ্যাটিকেলটি আপনার জন্য কেননা এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব,এছাড়া কিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে সেই সম্পর্কে ও জানতে পারবেন।তাই উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?
পোস্টসূচীপত্রঃএখানে শুধু কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি। এছাড়াও এর সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো জানলে আপনার অনেক উপকারে আসবে।তাহলে এবার চলুন সেই সকল বিষয় বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা-কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?

কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই কিডনি যাতে ভালো থাকে সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। কিডনি ভালো রাখতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার ও ভিটামিন সি জাতীয় জাতীয় খাবার খেতে হবে।

কিডনিতে পাথর হলে কি ব্যায়াম করতে হবে

আমাদের শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে কিডনি হচ্ছে একটা।কিডনি আমাদের শরীর কে পরিষ্কার করে। প্রতিদিন আমাদের সঠিক মাত্রায় পানি পান করতে হবে। শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে এটা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। ডিহাইড্রেশন কিডনির পাথর বিকাশে অবদান রাখে। 

কিডনির পাথর রোধে পরিমিত পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আশ জাতীয় খাবার ও এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন সবজি খেতে হবে। তাছাড়া কিছু মধ্যম মানের ব্যায়াম করা ও কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন ব্যায়াম করার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে ভালো রাখে।

কিডনিতে পাথর হলে কি কি সমস্যা হয়

কিডনিতে পাথর কোন কোন সময় কোন উপসর্গ সৃষ্টি করে না। কখনো কখনো পেটে অসহমীয় ব্যথার অনুভূত হয় তার সাথে বমি হয় ও বমি বমি ভাব হতে পারে। এই সময় ব্যথা কোনভাবেই উপশম হয় না। এই সময় কিছু অতিরিক্ত উপসর্গ বা লক্ষণ ও থাকতে পারে।যেমন:
  • প্রস্রাব করতে অসুবিধা হওয়া,
  • প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া ,
  • দুর্গন্ধ এবং ফেনার মতো প্রস্রাব হওয়া,
  • পিঠে ব্যথা,
  • ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া,
  • তলপেট এবং কুচকির দিকে প্রসারিত ব্যাথা,
  • প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হওয়া,
  • মূত্রনালী সংক্রমণের কারণে জ্বর এবং ঠান্ডা ঠান্ডা লাগা।

কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া উচিত

কিডনিতে পাথর হলে শরীরে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।এটা একটা ভয়াবহ অসুখ। কিডনিতে পাথর হলে ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে। কিডনি হলো শরীরের জরুরী একটি অঙ্গ। এই অঙ্গর প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দেওয়া। কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করতে পারে তাহলে ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো কিডনিতে জমে থাকে।

সাইট্রাস জাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের লেবুতে রয়েছে অনেকটা সাইট্রাস। তাছাড়া ও এতে রয়েছে ভিটামিন সি। মনে রাখতে হবে সাইট্রাস ফ্রুট কিডনির পাথর ছোট করতে ও কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ।তাই যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সাইট্রাস জাতীয় খাবার আমাদের খেতে হবে।
এছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলেও কিডনির পাথর হয়। তাই আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। নিয়মিত দুধ ,দই, সবুজ রঙের শাক এমন জাতীয় খাবার খেতে হবে।

অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি কম খেলে প্রস্রাব কম হয় এতে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর মূত্র বা প্রস্রাব কম হলে নানা রকম খনিজ কিডনিতে জমে। তারপর এসব খনিজ ধীরে ধীরে পাথরে পরিণত হয়। সেজন্য দিনে অন্ততপক্ষে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে।

কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?

কিডনি হচ্ছে একটি ছাঁকনি।কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে তার কাজ ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরে রাখা আর সমস্ত বর্জ্য বের করে দেওয়ার কাজ টি ও কিডনি করে।আমাদের রক্তের কিছু উপাদান রয়েছে এর মধ্যে একটি প্রধান উপাদান হলো পটাশিয়াম। 

কিডনি রোগীদের ছাকনিতে সমস্যা থাকার কারণে অতিরিক্ত লবণ প্রস্রাবের সাথে বের হতে পারে না। তাই রক্তে পটাশিয়াম বেড়ে যায়। কারণ রক্ত ছাকার মাধ্যমে প্রস্রাব তৈরি হয়।কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে আশা করছি সেটা বুঝতে পেরেছেন।

স্বাস্থ্যকর পানিয়র মধ্যে ডাবের পানি অন্যতম। নানা রকম পুষ্টিগুনে ভরা ডাবের পানিতে। ডাবের পানি দ্রুত শক্তি যোগায় এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর খনিজ। ডাবের পানির উপকারিতার শেষ নেই। তবে উপকারও যেমন আছে তেমনি এটা সব মানুষের উপকার ও হয় না। কারো কারো ক্ষেত্রে অপকারী পানিয় বটে। তাই ডাবের পানি খাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত ডাবের পানির ক্ষতিকর দিকগুলো।

কিডনি সমস্যা বা কিডনিতে পাথর এটা সাধারণ কোন সমস্যা নয় ।যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি খেতে পারবে না। কিডনিতে সমস্যা থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা ও বাড়তে থাকে। ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর পটাশিয়াম তাই কিডনির সমস্যা থাকলে ডাবের পানি খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। সেজন্য কিডনির সমস্যা রোগীদের ডাবের পানি না খাওয়াটাই ভালো।

কিডনিতে পাথর হলে বোঝার উপায়

শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি পান করা, মূত্র জনিত কোন সমস্যা, তলপেটে বা কোমরের একটানা ব্যথা হলে আমাদের সতর্ক হতে হবে। হক মানুষ শুধু এটুকুই বোঝেন। এদিকে কিডনির পাথর বা কিডনির নানা রকম সমস্যা জরিত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। বর্তমানে মানুষের জীবন যাপনের মান ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস কিডনির পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ।

কিডনির পাথর নানা আকারের হয়। পাথরের সংখ্যা কম ও আকারে ছোট হলে তা ওষুধের মাধ্যমে গলিয়ে শরীরের বাইরে বার করে দেওয়া যায়। দিতে পাথর হলে তলপেটে ব্যথা হয় আর এই ব্যথা তলপেট থেকে কোমরে ও ছড়ায়।

কিডনিতে পাথর হলে ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়, ঘন ঘন জ্বর হয়, বমি বমি ভাব হয়। কোমর থেকে তলপেটে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এগুলো সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। তাই আমরা প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে ,বমি বা কোমর ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিব ।

কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

কিডনিতে পাথর হলে আমাদের বেশ কিছু খাবার বর্জন করতে হয়। আবার কিছু কিছু খাবার কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে। অনেক সময় কিডনির পাথর গলার কাজে খাবারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং খাবারের মাধ্যমে সফলভাবে চিকিৎসা করা হয়। তাই পাথরটির প্রকৃতির জেনে নেওয়া জরুরি। উত্তেজিত করে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

কিডনিতে পাথর একদিনে হয় না। এটা অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে হয়ে থাকে। এটা রোধ করতে হলে প্রচুর পানি খেতে হবে। যাতে প্রতিদিন ২ লিটারের মত প্রস্রাব হয়। অনেক সময় ছোট ছোট পাথরগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। গরমের সময় যারা অতিরিক্ত ঘামে তাদের দেহ হতে প্রচুর পানি ঘাম ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। 

তাই আমাদের প্রচুর পানি পান করতে হবে। যাতে প্রস্রাব ক্লিয়ার এবং প্রস্রাবের রং হালকা হয়। আমরা এখন পর্যন্ত ও সঠিকভাবে জানি না যে কোন কোন খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে আমরা রক্ষা পাবো। তবে খাবারের মাঝে কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখা আমাদের জরুরি। যেমন ক্যালসিয়াম ও উচ্চ ইউরিক যুক্ত খাবার।

কিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে

কিডনিতে পাথর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এদিকে তুলসী পাতা, পাতি লেবুর রস, ডালিম, আপেল সিডার ভিনেগার, মেথি, কালোজিরা, শসা এগুলো নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে কিডনির পাথর ছোট হয়ে যাবে এবং প্রস্রাবের সাথে সাথে বের হয়ে যাবে। আর ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

কিডনি রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে,কিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে,কি কি খাবার খেতে হবে, কি কি সমস্যা দেখা দেয় আজকের পোস্টে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি উপরের উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থেকে সমস্ত পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিগ স্টার ইনফর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url